জন্ডিস আসলে কোনো রোগ নয়, বরং বেগতিক শরীরের উপসর্গ মাত্র। রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। এ সময়টাতে ত্বক হলদেটে হয়ে যায়, চোখের সাদা অংশ ও অন্যান্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। জন্ডিস হলে খাদ্যে অরুচি, জ্বর আসা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা হতে পারে।
একবার জন্ডিসের প্রভাব শরীরে পরা মানে তার যকৃৎ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
জন্ডিসের লক্ষণ
জন্ডিস হলে চোখ হলুদ হয়। তবে হেপাটাইটিস রোগে জন্ডিসের পাশাপাশি খাদ্যে অরুচি, বমি ভাব, জ্বর জ্বর অনুভূতি কিংবা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, মৃদু বা তীব্র পেটব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। এসব উপসর্গ দেখা দিলে তাই অবশ্যই একজন লিভার বিশেষজ্ঞের পরমর্শ নেয়া উচিত।
চিকিৎসক শারীরিক লক্ষণ এবং রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জন্ডিসের তীব্রতা ও কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।
জন্ডিসের তীব্রতা কোন পর্যায়ে আছে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়। খুব বেশি জটিলতা না থাকলে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করলেই জন্ডিস সেরে যায়।
জন্ডিস হলে যা করবেন
১. প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি খান।
২. বেশি পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি খান বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি প্রচুর খাওয়া উচিত। এর মধ্যে পালং শাক, মুলা শাক ও পেঁপের পাতা জন্ডিস সারাতে বেশ ভালো কাজ করে।
৩. এ সময় কফি, অ্যালকোহল, সোডা কিংবা অন্যান্য পানীয় খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
৪. ঘরে তৈরি ফলের রস খেতে পারেন। এর মধ্যে আখের রস, টমেটোর রস বেশ উপকারী।
৫. প্রক্রিয়াজাত বা ফাস্ট ফুড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৬. লাল মাংস খাবেন না।
৭. ধূমপান পরিহার করুন।
৮. এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
৯. দুধ, পনির কিংবা অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
১০. পারলে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে বাইরে হাঁটুন।